শিরোনাম

10/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিন।

চুপ থাকুন, নিরাপদে রাখুন

   

 


   চুপ থাকুন, নিরাপদে রাখুন 


---------রাবিদ মাহমুদ চঞ্চল---------

আমরা জানি কথা হলো মানব মনে উদিত হওয়া অভিব্যক্তির বহিঃপ্রকাশ। আবার এই কথা হলো প্রতিবাদের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। কিন্তু সব সময় একই পন্থা অনুসরণ করতে হবে এমনটা নয়। কখনো কখনো কথা না বলে প্রতিবাদ করা যায়। সামাজিক পরিভাষায় এটাকে বলা হয় নীরব প্রতিবাদ। কথা বলে প্রতিবাদ করার চেয়েও অনেক সময় নীরব প্রতিবাদ বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখে। আবার কখনো এই কথা নিজের জন্য এমনকি একটা জাতির জন্য অকল্যান বয়ে আনে। বহু উদাহরণ আছে আমাদের চারপাশে। আজকের আলোচনা এমনি এক কথার বিষয় নিয়ে। গত ৫ ই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান স্বৈরাশাসনের দায়ে অভিযুক্ত শেখ হাসিনা। আপনারা যারা রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করে থাকেন তারা সুনিশ্চিত ভাবে অবগত আছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মোড় পরিবর্তন হয়েছিল কিন্তু একমাত্র শেখ হাসিনার কথার কারনে। ০৫ আগস্ট এই শেখ হাসিনাই দলীয় নেতাকর্মীদের কথা না ভেবে আত্মরক্ষার সুনিশ্চিত করতে বোন শেখ রেহেনাকে নিয়ে ভারতে পাড়ি জমান। এরপর ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় কিছু দিন কথা না বলে নিশ্চুপ ছিলেন। শেখ হাসিনার পলায়নপর দেশে গঠিত হয় অন্তবর্তী কালীন সরকার। নোবেল লরিয়েট ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসকে করা হয় প্রধান উপদেষ্টা। ডঃ ইউনুস সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি কথনের বিষয়টি আগে থেকেই অবগত ছিলেন বিধায় কিছুদিন আগেই বলেছেন ভারতে ভালো থাকতে চাইলে চুপচাপ থাকুন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ তাকে ফেরত না চাওয়া পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে চুপ থাকতে হবে। সেখানে (ভারতে) কেউ তার অবস্থানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে না, আমরা তাকে ফেরাতে চেষ্টা করতে চাই। তিনি ভারতে আছেন এবং মাঝে মাঝে কথা বলছেন, যা সমস্যাপূর্ণ। যদি তিনি চুপ থাকতেন, আমরা ভুলে যেতাম। মানুষ এটাও ভুলে যেত যে, তিনি তার নিজের ভুবনে আছেন। কিন্তু ভারতে বসে তিনি কথা বলছেন এবং নির্দেশ দিচ্ছেন। কেউ এটা পছন্দ করছে না।’ ডঃ ইউনূস আরো বলেছেন, ‘সবাই এটা বুঝতে পেরেছে। আমরা বেশ দৃঢ়ভাবে বলেছি যে, তার চুপ থাকা উচিত। এটি আমাদের প্রতি একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক; তাকে সেখানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তিনি সেখান থেকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এমন নয় যে, তিনি স্বাভাবিক পথেই সেখানে গেছেন। জনগণের অভ্যুত্থান এবং জনরোষের কারণে তিনি পালিয়ে গেছেন।’ কিন্তু কে শোনে কার কথা। স্বৈরাচারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কয়েকটি ফোন আলাপ তারপরেও ফাঁস হয়েছে। যা প্রচারিত হয়েছে দেশ-বিদেশের গণ মাধ্যম গুলোতে। কোন অবস্থায় মুখ বন্ধ রাখতে পারছেন না তিনি। একের পর এক তিনি বকবক করেই যাচ্ছেন।ফাঁস হওয়ার একটি ফোন আলাপে তিনি আমেরিকাতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা ঢাকার কামরাঙ্গীচরে জনৈক তানভীর নামের এক ব্যক্তির সাথে ৮ মিনিটে একটু বেশি সময় ধরে কথা বলেছেন। এখানে একটু বলে রাখা ভালো এই তানভীর যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে বর্তমান অবস্থান করছেন। ফোন আলাপের কথোপকথনে শেখ হাসিনা বলেছেন-দেশ আবার দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে যাচ্ছে,একের পর এক খুনের মিথ্যা মামলা হচ্ছে, ডঃ ইউনুস হাজার হাজার কোটি টাকা মানি ল্যান্ডারিং করেছে,অলিম্পিকে ডোনেশন দিয়ে মশাল হাতে নিয়ে উদ্বোধন করেছেন, আমেরিকা সহ বিদেশিদের  কাছে বাংলাদেশ বর্তমান চিত্র তুলে ধরতে অনুরোধ করেছেন, বলছেন চট করে দেশে ঢুকে পড়বেন ইত্যাদি কথকতা। এখানে আমাদের একটু ভেবে দেখা দরকার তার কথা গুলোর মধ্যে দিয়ে তিনি আমাদের কি ম্যাসেজ দিতে চাইছেন। কেনই বা তার অডিও ফাঁস হলো। ফাঁস করা অডিও কলের মধ্যে দিয়ে কি বার্তা দিতে চাইলেন শেখ হাসিনা। তার কথকতা নিয়ে যতসামান্য বিশ্লেষণ তো করা যেতেই পারে। 

দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে যাচ্ছে দেশঃ- শেখ হাসিনার বার্তায় অতিব কষ্ট নিয়ে তিনি দেশবাসীর প্রতি দরদ থেকে বলেছেন দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি। আপাতত ধরেই নিলাম আপনি দেশ ও দেশের জনগনের কথা ভেবে ভেবে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছেন। তাহলে আপনার কাছে প্রশ্ন - আপনার সময়কালে যখন হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে,তখন আপনি কি ভুমিকা রেখেছিলেন? সে সময়ে আপনার চুপ থাকা কি প্রমান করে না যে, আপনি এই পাচারকৃত টাকার একটা বৃহৎ  অংশ পেয়েছেন। আপনি দেশ ছেড়ে পালানোর আগে বলেছিলেন- আপনার পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক,হেলিকপ্টার ছাড়া চড়ে না, তাহলে কি প্রমান হলো? চাকর যদি ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়, তাহলে মুনিব কত টাকার মালিক? সেসময় দারিদ্র্য সীমার কথা কি বেমালুম ভুলে গিয়ে ছিলেন?

ডঃ ইউনুস এর হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে বিদেশে পাচার :- স্বৈরাচার হিসেবে পৃথিবীর ইতিহাসে স্থান পাওয়া আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা আপনি যখন বলেন ডঃ ইউনুস মানি ল্যান্ডারিং করেছেন তখন সাধারণ মানুষ কিভাবে অট্টহাসি দেয় তা যদি আপনি দেখতে পেতেন তাহলে বোধ করি নিজের মুখ আপনি নিজের  আঁচলে লুকাতেন।

বিদেশের কাছে নালিশ :- আপনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বারবার বলতেন তারেক রহমান ও তার মা বেগম খালেদা জিয়া বিদেশিদের কাছে নালিশ করে দেশের সুনাম নষ্ট করে। তাহলে আপনি এখন কেন দেশের রাজনৈতিক বিষয়ে আপনার প্রবাসী নেতাকর্মীদের সেদেশের সরকারের কাছে নালিশ করতে বলছেন? তাও আবার সেই আমেরিকার কাছে যাদেরকে আপনি বারবার ইনিয়ে বিনিয়ে প্রত্যাখান করছেন। 

মামলা ও সংঘবদ্ধ হওয়ার নির্দেশ:- ফোন আলাপে শেখ হাসিনা আপনাকে বলতে শুনলাম একের পর এক মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে। আইনজীবীদের ঐক্য বদ্ধ ভাবে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিচ্ছেন। বাহ কি অসাধারণ আপনার রাজনীতি!  ক্ষমতা থাকা অবস্থায় বিগত ১৬ বছরে আপনার নির্দেশে দেশব্যাপী বিএনপি-জামাত সহ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে কত লাখ মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে? এসব কি আপনি জানেন না? আপনার কি মনে হয় দেশবাসী আপনার এই মামলা-মামলা খেলার ন্যাক্কার জনক ইতিহাস এত অল্প সময়ে ভুলে গেছে। যদি তাই মনে করে থাকেন, তাহলে আপনাকে দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদের ভিত্তিতে একটু স্মরণ করিয়ে দেই - গত জুলাই ও আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনে অন্তত ৮০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো অন্তত ২০০০ জন। আপনার আমলে গুমের শিকার হয়েছেন অন্তত ৭০০ জন। আর আয়না ঘরের মাধ্যমে যে কতজন নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এর প্রকৃত হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। যদি এই অন্তবর্তী কালীন সরকারের আমলে মামলাকে আপনি মিথ্যা ও ভিত্তি মামলা মনে করেন তাহলে আপনার আমলের মামলাগুলোকে এদেশের মানুষ কিভাবে বিবেচনা করবে সেটা কখনো ভেবে দেখেছেন? 

চট করে দেশে ঢুকে পড়বেন :- আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আপনার ফোন আলাপে আপনি বলেছেন- দেশের খুব কাছাকাছি আছেন। সময়মত চট করে ঢুকে পড়বেন। আচ্ছা আপনি কি জানেন, চট করে আপনি ঢুকে পড়বেন সেটা আপনার দলের নেতাকর্মীদের মত কোটি কোটি মানুষের চাওয়া। কেননা আপনার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় আপনি যে সমস্ত পরিবারকে নিঃস্ব করেছেন, যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন, যাদের স্বজনকে গুম ও খুন করেছেন তারাই তো আপনার চট করে ঢুকে পড়ার অপেক্ষায় রয়েছে। আচ্ছা আপনি তো প্রায়ই বলতেন আপনার ক্ষমতার প্রতি কোন লোভ নেই, তাহলে আপনার সময়ে এত নারকীয় হত্যাকান্ড কেন? ছাত্র-জনতার রক্তের দাগ শুকিয়ে যাওয়ার আগেই এত দ্রুত চট করে ঢুকে পড়ার হেতু কি এদেশে সাধারণ মানুষগুলো এখন জানতে চায়। আচ্ছা ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগের দুঃসময় আপনি দলের হাল ধরে ধরেছিলেন। আশির দশকের শুরুতে বিবিসি সাংবাদিক জন রেনারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আপনি বলেছিলেন রাজনীতি আপনার ভালো লাগেনা। রাজনীতিকে আপনি ঘৃণা করেন। আপনি পিতা- মাতা এবং ভাইদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে চান (বিবিসির সাংবাদিক সিরাজুর রহমানের লেখা "এক জীবন এক ইতিহাস" বইয়ের ২৮৮ পৃষ্ঠায় এসব কথা উল্লেখ আছে)। তাহলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল করে যুদ্ধ অপরাধী ও মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে যে সমস্ত ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে সাজা প্রদান করেছেন সেগুলো কি আপনার ওই বক্তব্যের প্রতিফলন? 

আপনার কর্ম বিশ্লেষণ আধুনিক বিশ্বের আর্জেন্টিনার পতিত স্বৈরাশাসক ইসাবেল পেরনকে হার মানায়। ইসাবেল পেরন নিছক নর্তকী থেকে হয়েছিলেন আর্জেন্টিনার প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি আর আপনিও নিছক একজন গৃহবধূ থেকে হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। দুজন দু মেরুর হলেও আপনাদের মধ্যে একটি বিশেষ বিষয়ে রয়েছে ব্যাপক মিল। তা হল আপনারা দুজনেই ক্ষমতা গ্রহণের পর হয়ে ওঠেন মারাত্মক রকমের ফ্যাসিস্ট। ইসাবেলের অন্যতম বড় সমস্যা ছিল তার দলের প্রবীণ নেতা ও ব্যক্তিগত সচিব হোর্হে লোপেজ রিগা। দুর্নীতির মাধ্যমে এই রিগা অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন। দেশবাসীর কাছে তিনি সে সময় পরিচিত ছিলেন জ্যোতিষী হিসেবে। আর শেখ হাসিনা আপনার অন্যতম বড় সমস্যা ছিল আপনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান। তিনিও দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। দেশবাসীর কাছে তিনি পরিচিত হয়েছেন দরবেশ বাবা হিসেবে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আপনিই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি জনরোষের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন। আপনি যদি সত্যিই দেশ,দেশের মানুষ, লাখ লাখ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে মন থেকে ভালোবাসতেন তাহলে চলে যাওয়ার আগে আপনি ভাবতেন। জুলাই মাসেই পদত্যাগ করতেন। যেভাবে পালালেন এভাবে নয় বিকল্প কোনোভাবে পদত্যাগ করে হয়তো বা দেশে থাকার স্থির কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। পরিহার করতে পারতেন জুলাই ও আগস্টের নির্মম সহিংসতা। কিন্তু আপনি তা করেছেন কি? ক্ষমতার লোভ আপনাকে যেভাবে গ্রাস করেছিল অথবা আপনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে স্বৈরাচারীর যে ভূমিকায় নিজেকে অবতীর্ণ করেছিলেন,সেখান থেকে আপনি বা আপনার দলের নেতা কর্মীরা নিজেদেরকে আর অবমুক্ত করতে পারেননি। টানা বিগত ১৬ বছরের পূর্ণ হিসাব না হয় বাদই দিলাম শুধুমাত্র চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাস যে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ দেশে সংগঠিত হয়েছে, ছাত্র-জনতা-পুলিশ সহ যত লোক এই সময়ে মারা গিয়েছেন তাদের হত্যার দায় আপনি কোনভাবেই এড়াতে পারেন কি? 

পরিশেষে আপনার উদ্দেশ্যে ক্ষুদ্র একজন মানুষ  হিসেবে কয়েকটি কথা বলতে চাই -বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত আবেগ প্রবন, দয়ালু, মহানুভব,বন্ধু সুলভ এবং অতিথি পরায়ন। অতীতে বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে এটা বলা যায় বাংলাদেশের মানুষ ভয়ংকর স্মৃতি থেকে বরাবরই নিজেদেরকে মুক্ত রেখে ক্ষমার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আপনার বেলায়ও এর ব্যতিক্রম হবে বলে মনে হয় না। তবে সেক্ষেত্রে এই দুর্বিষহ স্মৃতিগুলো মানুষের মন থেকে ফিকে হওয়া পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। বারবার এ ধরনের ফোন আলাপ বা উত্তপ্ত বক্তব্য নির্গত করে পুরনো স্মৃতিগুলোকে সম্মুখ পটে না আনায় ভালো। যত আপনি চুপ থাকবেন ততোই আপনার জন্য এবং আপনার দলের নেতাকর্মীদের জন্য মঙ্গল। বিএনপি'র চেয়ারপারসন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কোন এক সময় আপনাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন -শেখ হাসিনাকে কথা বলতে দিন, শেখ হাসিনা যত কথা বলবেন ততোই বিএনপি'র জন্য মঙ্গল হবে। শুধু তাই নয় আপনার দলের অনেক নেতাকে বিরোধী দলে(২০০১-২০০৫) থাকা অবস্থায় বলতে শোনা গেছে আমাদের নেত্রী যত চুপ থাকতে পারবেন তত দ্রুতই আমরা ক্ষমতায় আসবো। নিশ্চয়ই আপনাকে আর ব্যাখ্যা করে বলার অবকাশ থাকছে না। সুতরাং চুপ থাকুন, নিজেকে নিরাপদ রাখুন,দেশে ফেলে যাওয়া আপনার গন্তব্যহীন, অভিভাবকহীন নেতাকর্মীদেরকে নিরাপদে থাকতে দিন।

লেখক : রাবিদ মাহমুদ চঞ্চল 

সাংবাদিক ও কলাম লেখক



Post a Comment

0 Comments